ওয়ানডে বিশ্বকাপে শিরোপার খুব কাছে এসেও দুঃখজনক হার এখনো কাঁদায় কিউই ক্রিকেট প্রেমীদের। ১০০ ওভারের ম্যাচে কোনো ফল না হওয়া সেবার সুপার ওভারের আশ্রয় নিতে হয়। সেখানেও দুই দলকে আলাদা করা যায়নি। কিন্তু বাউন্ডারি ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শেষ পর্যন্ত শিরোপা উচিয়ে ধরে ইংল্যান্ড।
সেদিনের পর এবারও যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল সুপার ওভারে গড়ায় এবং সেখানে যদি রেজাল্ট টাই হয়, তাহলে কী হবে? না, নিউজিল্যান্ডকে আর বাউন্ডারি নিয়মের আফসোসে পুড়তে হবে না।
আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ম্যাচে যদি দুই দলের সংগ্রহ সমান থাকে তাহলে ফল বের করার জন্য সুপার ওভার অনুষ্ঠিত হবে। তাতেও যদি ফল টাই হয়, তাহলে বিজয়ী দল বের করার আগ পর্যন্ত সুপার ওভার চলতেই থাকবে।
খেলার শর্ত অনুযায়ী, সময়ের সীমাবদ্ধতার (উদাহরণ স্বরূপ, একটি নির্দিষ্ট সময়ে ফ্লাডলাইট বন্ধ করার প্রয়োজন) কারণে একাধিক সুপার ওভার আয়োজন করতে না পারলে, ম্যাচ রেফারি সম্ভাব্য সুপার ওভারের সংখ্যা সীমিত করতে পারেন। প্রথম সুপার ওভার ও সম্ভাব্য সুপার ওভারের আগে দুই দলের অধিনায়ককে সেই অনুযায়ী পরামর্শ দিতে হবে।
ম্যাচ টাই হওয়ার পর আবহাওয়া পরিস্থিতি যদি সুপার ওভার সম্পূর্ণ করতে বাধা দেয় অথবা ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয় বা ফল না হয়, তাহলে সুপার-১২ রাউন্ডে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলটি ফাইনালে পৌঁছে যাবে।
চলমান বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে থাকছে। নির্ধারিত দিনে ম্যাচটি শেষ করার সর্বাত্তক চেষ্টা করা হবে, প্রয়োজনে ওভার কমিয়ে হলেও। নির্ধারিত দিনে ন্যূনতম সংখ্যক ওভার (৫ ওভার) মাঠে গড়ানো না গেলে ম্যাচটি রিজার্ভ ডে-তে সম্পন্ন হবে।
ম্যাচটি যদি নির্ধারিত দিনে শুরু হয় কিন্তু কোনো বাধার পর ওভার কমিয়ে আনা সত্ত্বেও খেলা চালু করা সম্ভব হয়নি, তাহলে রিজার্ভ ডে-তে আগের দিনে শেষ বলটি যখন হয়েছিল, সেখান থেকেই পুনরায় খেলা শুরু হবে।