করোনা সংক্রমণের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়ে রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বরাবরে আইনি নোটিশ পাঠান পাঁচ আইনজীবী। অন্যথায় তাঁরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। তার ধারাবাহিকতায় সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী ও আসনটির সাতজন ভোটার আজ সোমবার সকালে হাইকোর্টে রিটটি দাখিল করেন। তার শুনানি নিয়ে আদেশ দেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিপুল বাগমার শুনানিতে ছিলেন।
অন্যদিকে শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে। প্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, যদি নির্বাচন না হয়। প্রার্থীরা তো আসেননি। প্রার্থীরা নির্বাচন করার জন্য সম্মত আছেন। ইভিএমে ভোট গ্রহণ হবে। স্বাস্থ্যবিধি সব মেনে ভোট গ্রহণ হবে বলে ইসি জানিয়েছে। ইতিমধ্যে ইভিএম পাঠানো হয়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিলেট-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয়। ধার্য সময় অনুযায়ী, এই আসনে আজ সোমবার মধ্যরাতে প্রচার শেষ হওয়ার কথা ছিল। আর আগামী বুধবার ভোট হওয়ার কথা ছিল।
উপনির্বাচনে মাঠে থাকা প্রার্থী চারজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান (লাঙ্গল), নির্বাচনে নেমে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সাংসদ শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি-কার) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া (ডাব)।