সিলেটের চিকিৎসাক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা

 নিউজ ডেস্কঃ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্ম বধির ও মারাত্নক বধির রোগীদের চিকিৎসায় ওডিওলজি ও অডিও ভারবাল থেরাপি ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের আওতাধীন বহুল প্রত্যাশিত কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রজেক্টের অডিওলজী এবং অডিও ভারবাল থেরাপী ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়। এরমাধ্যমে জন্মবধির শিশুদের চিকিৎসায় নতুন আশার দুয়ার খুলেছে বলে উচ্ছাস প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ময়নুল হক বলেছেন, এই ইউনিট স্থাপনে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন ইতিহাসের সূচনা হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব ও সঠিক সিদ্ধান্তে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারীর মাধ্যমে এই অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।

অনুষ্ঠানে ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার বলেছেন, যারা কানেও শুনেন না তারা কথাও বলতে পারেন না। এই আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে শোনা ও কথা বলার সমস্যার সমাধান সম্ভব।

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনি লাল আইচ বলেন, রোগী বাছাই ও অপারেশন পরবর্তী অডিও ভারবাল থেরাপি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, অন্যথায় এই অপারেশনের ভালো ফলাফল সম্ভব নয়। নতুন ইউনিট স্থাপনে মানুষ দ্রুত সেবা পাবেন। সূচনা বক্তব্যে প্রকল্প পরিচালক ডা.নূরুল হুদা নাঈম কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম সরকারের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে বলেন, শারীরিক কোনো প্রতিবন্ধিতা না থাকা সত্বেও শুধুমাত্র কানে কম শোনা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার এ কার্যক্রম সরকারের দূরদর্শিতার পরিচায়ক। নিওনেটাল হিয়ারিং স্ক্রিনিং আমাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে দেশের জনগণ আরও উপকৃত হবে।

এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কার্ডিওলজির সহকারী অধ্যাপক আজিজুর রহমান রোমান, সিলেট সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিক আহমদ। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন ইএনটির আবাসিক সার্জন ডা. এম নুরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাক-কান-গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা: ইমাদ হোসেন চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক বৃন্দ ডা: কৃষ্ণ কান্ত ভৌমিক, ডা: শাহ কামাল, ডা: কাইয়ুম আনসারি এবং ডা: মোখলেসুর রহমান শামীম, রেজিস্ট্রার ডা: সুশান্ত সিংহ এবং ডা: মো: আব্দুল হাফিজ (শাফী), জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা: বিচিত্র কুমার দে এবং ডা: দেবাশীষ বসুসহ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছাড়াও চিকিৎসক ও নার্সবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *