এই নিয়ে গত এক বছরে তৃতীয়বারের মতো নিজেদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করলেন কিম। তিনি আবার বুঝিয়ে দিলেন, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পরমাণু অস্ত্র ও ব্যালেস্টিক মিসাইল কর্মসূচি থেকে তিনি সরে আসবেন না। বরং প্যারেডে তিনি দেশের সর্বশেষ মিসাইল দেখিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন, আগের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসার কথা তিনি ভাবছেন না।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা একটি সংবাদসংস্থাকে জানান, ‘উত্তর কোরিয়ায় প্যারেড হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। পরবর্তী বিশ্লেষণের জন্য আরও তথ্যের অপেক্ষায় আছি।
গতবছর অক্টোবরে সামরিক প্যারেডে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল দেখিয়েছিলেন কিম। তখন দুই বছরের মধ্যে প্রথমবার দূর পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্রের প্রদর্শন করা হয়।
গত জানুয়ারিতেও আবার গভীর রাতে সামরিক কুচকাওয়াজ হয়। সেখানে সাবমেরিন লঞ্চড ব্যালেস্টিক মিসাইলের প্রদর্শন করা হয়। সেসময় দেশটির সরকারি সংবাদসংস্থা ওই ব্যালেস্টিক মিসাইল বিশ্বের সব চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র বলে দাবি করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনকে নিউজ জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ে প্রথমে রাত বারোটা ও তারপর রাত একটার সময় আতশবাজি ফুটানো হয়। তারপর শুরু হয় সামরিক প্যারেড। যুদ্ধবিমানের শব্দ তখনই শোনা যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিম তার দীর্ঘ শাসনকালে সবচেয়ে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। করোনার জন্য সব সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাও বহাল রয়েছে।
এরই মধ্যে কিম জং উন হয়তো বিশ্বকে একটা কঠোর বার্তা দিতেই এই সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছেন বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।