নিউজ ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণকে বাদ দিয়ে সরকার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে। জনগণ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানগুলোতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো অবস্থান নেই। রাজনৈতিক দলগুলোরও কোনো অবস্থান নেই। শুধুমাত্র বিদেশি মেহমানদের নিয়ে এসে দেখানো হচ্ছে আর বলানো হচ্ছে- উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর হলি ফ্যামেলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে দেখার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ভারত, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটারের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের আগমনকে স্বাগত জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রতিবেশী চারটি বন্ধু দেশের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী এসেছেন এবং আগামী শুক্রবার বন্ধু দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসবেন। তার এই সফরের মধ্যে ভারতের সাথে সম্পর্ক আরো উন্নত করতে হলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অভিন্ন নদীগুলোর ন্যায্য হিস্যার মীমাংসা হওয়া উচিত, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত। কানেকটিভিটিতে আমার কী লাভ হচ্ছে সেটা জনগণের কাছে স্পষ্ট হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, সীমান্তে হত্যা অবিলম্বে বন্ধ হোক। যেটা অমানবিক। যেটা পৃথিবীর কোনো দেশের সীমান্তে ঘটে না। তিস্তা নদীর চুক্তি হচ্ছে না, ফেনী নদীর পানি একতরফাভাবে নিয়ে গেছে। সেতুও তৈরি হচ্ছে কানেকটিভিটিতে। অথচ আমাদের মৌলিক সমস্যাগুলোর কোনো সমাধান হচ্ছে না। আমরা এখনো প্রত্যাশা করি, বাংলাদেশ সরকার আমাদের দাবিগুলোকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করে সমস্যার সমাধান করবেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির বছরব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে গত ১৭ মার্চ থেকে আমাদের কর্মসূচিগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের সুবর্ণ জয়ন্তী ও বর্ষ পালন করার কারণ দেখিয়ে এবং বিদেশি মেহমানরা আসবেন সেই কারণ দেখিয়ে এটা করা হচ্ছে। মানুষের চলাচলে বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে।
করোনা প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার করোনার উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হচ্ছে না। তাদের নিয়তেরই ঠিক নাই। তাদের লক্ষ্য একটাই- কখন কোত্থেকে তারা চুরি করবে। প্রত্যেকটা বিষয়ে যখন দুর্নীতি করতে চায় তখন তো সমাধান করা সম্ভব না। সমাধান করার জন্য যে আন্তরিকতা, নিষ্ঠা তার কোনটাই নাই।
এ সময় বিএনপির দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দলীয় কর্মসূচির সময় হামলায় হাবিব-উন নবী খান সোহেল গুরুতর আহত হন।