শহীদ সার্জেন্ট মহি আলম অবলম্বনে ডকুড্রামা “দুইটি যুদ্ধের একটি গল্প”

বিনোদন ডেস্কঃ  স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দীপ্ত টিভিতে  ২৬ মার্চ রাত ১১টায় প্রচারিত হবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ডকু-ড্রামা ‘‌দুইটি যুদ্ধের একটি গল্প‘‌।  শহীদ সার্জেন্ট মহি আলমকে নিয়ে  নির্মাণ করা হয়েছে এই ডকুড্রামা।

১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর বোর্ড অফিস রাজাকার ক্যাম্পে অপারেশনের সময় রহস্যজনকভাবে শহীদ হন  শহীদ সার্জেন্ট মহি আলম।  ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বরিশালের ঐতিহ্যবাহী উলানিয়া চৌধুরী পরিবারে। এ পরিবারেই জন্মগ্রহণ করেছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, কবি আসাদ চৌধুরী এবং আতিকুল হক চৌধুরী।

সহযোদ্ধা ছাড়া, পরিবারের সদস্যদের কাছেও একটা সময় পর্যন্ত অজানা ছিল, শহীদ মহি আলম চৌধুরীর বীরত্বগাথা তার শহীদ হবার ঘটনা, এমনকি অজানা ছিল কবরের স্থানটিও। ভুলতে বসা জাতির এই সূর্যসন্তানের – এই সকল তথ্য ও তার কবরের সন্ধান একক প্রচেষ্টায় খুঁজে বের করেন শহীদ মহি আলম চৌধুরীর ভাতিজি মারজান বেগম। পারিবারিক একটি ছবির সূত্র ধরে মারজান বেগম নতুন এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন এবং একক প্রচেষ্টায় মহি আলম চৌধুরীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি আদায় করেন।

ফুয়াদ চৌধুরীর পরিকল্পনা ও পরিচালনায় সত্য ঘটনা অবলম্বনে ডকু-ড্রামাটিতে মহি আলম চৌধুরীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিয়াদ রায়হান, মারজান চৌধুরীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অহনা মিথুন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মির্জা শাখেছেপ শাকিব, সাইদুর রহমান পাভেল, জয়শ্রী মজুমদার লতা ও চট্টগ্রামের নান্দিমুখ থিয়েটারের একদল নাট্যকর্মী। ডকু-ড্রামাটি রচনা করেছেন ফাহমিদুর রহমান। লাইন প্রোডিউসার ও গবেষণা করেছেন ফাহদ হোসেন এবং এটির অ্যাসোসিয়েট প্রোডিউসার রওশন জাহান নূপুর ।

সাক্ষাৎকার এবং ঘটনার নাটকীয় দৃশ্যায়নের মাধ্যমে প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মিত হয়েছে। শহীদ মহি আলম চৌধুরীর মহান আত্মত্যাগকে মূল উপজীব্য রেখে, মারজান বেগম কে চৌধুরী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি আদায় করতে গিয়ে যে আরেক যুদ্ধ করতে হয়েছে, সেটাই এই প্রামাণ্যচিত্রে প্রতিপাদ্য।

দীপ্ত টিভির নিজস্ব ভবনে ৭১-এর সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ডকু-ড্রামা ‘‌দুইটি যুদ্ধের একটি গল্প’-এর প্রেস শো অনুষ্ঠিত হয়। ডকু-ড্রামাটির লাইন প্রডিউসার ফাহদ হোসেনের উপস্থাপনায় এই প্রেস শোতে ডকু-ড্রামার পরিচালক দীপ্ত টিভির সিইও ফুয়াদ চৌধুরী ও  মহি আলম চৌধুরীর ভাতিজি মারজান বেগম এবং দীপ্ত টিভির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *