যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসকের পরিবারকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা

নিউজ ডেস্কঃ  যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের খ্যাতনামা একজন চিকিৎসক, তার স্ত্রী ও তাদের দুই নাতি-নাতনিসহ চিকিৎসক পরিবারের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন ফিলিপ অ্যাডামস (৩২), যিনি দেশটির জাতীয় ফুটবল লিগের (এনএফএল) সাবেক খেলোয়াড়। দেশটির পুলিশ এমনটি জানিয়েছে।

পুলিশ বলছে, সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের ইয়র্ক কাউন্টিতে ঘটনাস্থলের একই সড়কের পাশে একটি বাড়িতে পুলিশের সাথে গুলিবিনিময়কালে আত্মহত্যা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় লীগে একাধিক দলের হয়ে খেলা ডিফেন্সার ফিলিপ অ্যাডামস।

স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল পৌনে ৫টায় সাউথ ক্যারোলাইনার ইয়র্ক কাউন্টির রক হিল শহরের মার্শাল রোডের একটি বাড়িতে গুলিবর্ষণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বাড়িটির ভেতরে গিয়ে ডা: রবার্ট লেসলি (৭০), তার স্ত্রী বারবারা লেসলি (৬৯), তাদের নাতি আডাহ লেসলি (৯), নাতনি নোয়াহ লেসলির (৫) লাশ দেখতে পায় পুলিশ।

ইয়র্ক কাউন্টি শেরিফ কেভিন টলসন বলেছেন, বুধবার বিকেলে ফিলিপ অ্যাডামস বাইরের দু’জন এয়ার কন্ডিশনার টেকনিশিয়ানকে গুলি করেছিলেন। তাদের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তারপরে রক হিলের ডা: রবার্ট লেসলিকে তার বাড়িতে প্রবেশ করতে বাধ্য করেন।

বাড়িতে ডা: লেসলি, তার স্ত্রী বারবারা লেসেলিসহ তাদের পাঁচ ও নয় বছর বয়সী দুই নাতি-নাতনিকে পেছনের ঘরে গুলি করে হত্যা করা হয়। আর বাইরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি উত্তর ক্যারোলিনার গ্যাস্টোনিয়া শহরের এয়ার কন্ডিশনিং টেকনিশিয়ান জেমস লুইস। লেসলির বাড়িতে জেমস লুইস টেকশিয়ান হিসেবে কাজ করেছিলেন বলে ধারণা করা হ্চ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নতুন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা পাসের পরপরই এ ঘটনা ঘটল। স্থানীয়ভাবে অত্যন্ত পরিচিত চিকিৎসক রবার্ট লেসলিকে হত্যার এমন ঘটনায় সাউথ ক্যারোলাইনাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

খেলোয়াড় ফিলিপ অ্যাডামস কেনই বা চিকিৎসক দম্পতিকে হত্যা করতে যাবেন, এ সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন ডা: রবার্ট লেসলি কিছু দিন আগে খেলোয়াড় ফিলিপ অ্যাডামসকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন।

ইয়র্ক কাউন্টি পুলিশের প্রধান কেভিন টলসন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এখনো কিছু বুঝে উঠতে পারছি না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *