নিউজ ডেস্কঃ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের সানগ্লাস উপহার দিয়ে বিশেষ আলোচনায় এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একই সঙ্গে তিনি ক্রিস্টাল ষাঁড় উপহার দিয়ে বিশ্বমিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছেন। এ নিয়ে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের নানা অভিমত নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করছে বিভিন্ন মিডিয়া।
সিএনএনের খবরে উল্লেখ করা হয়, কূটনৈতিক শিষ্টাচার রক্ষার্থে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সেই ন্যাটো জোটেরই রোদ-চশমা (সানগ্লাস) উপহার দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুধু সানগ্লাস নয়। বিশ্ব রাজনীতিতে ‘লৌহমানব’ খ্যাত পুতিনকে ষাঁড়সদৃশ আমেরিকার জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী বাইসনের প্রতিকৃতিও উপহার দেন বাইডেন। ষাঁড়টি প্রতীকী হলেও, অপ্রকাশিত ব্যাখ্যাটি বেশ জীবন্ত হয়ে উঠেছে রুশ মুলুকে। যুক্তরাষ্ট্রের ঠাণ্ডা মাথার এই দুই উপহারে উসকানির গন্ধ পাচ্ছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরাও। কেউ কেউ বলছেন-পুতিনকে উপহার নয়, কূটনৈতিক গুঁতো দিলেন বাইডেন।
সিএনএন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের র্যা নডল্ফ কোম্পানি মার্কিন সেনা ও ন্যাটো অংশীদারদের জন্য অভিজাত ঘরানার এভিয়েটর সানগ্লাস তৈরি করে থাকে। সেখান থেকেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমের পুতিনকে একজোড়া সানগ্লাস উপহার দেন বাইডেন। কেন ন্যাটো সদস্যদের ব্যবহূত সানগ্লাস দিলেন তা নিয়েও জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। পুতিনকে কি ন্যাটো জোটে চাইছেন বাইডেন? রেষারেষি-প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে কি হাত মেলাবে দুই শত্রু? নাকি চোখের ওপর প্রচ্ছন্ন হুমকি ঝুলিয়ে দিলেন বাইডেন- ‘বাড়াবাড়ি করলে ন্যাটো আছে।’
ন্যাটোকে নিয়ে যে কারণে আলোচনা
সোভিয়েত ইউনিয়নের হাত থেকে ইউরোপের দেশগুলোকে নিরাপত্তা দিতে ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ন্যাটোর যাত্রা শুরু হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, বস্তুত রাশিয়াকে শায়েস্তা করতেই ন্যাটোর জন্ম। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সম্প্রসারণকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে রাশিয়াও।
এদিকে ন্যাটো জোটকে পাল্টা জবাব দিতে ২০১৬ সালে নতুন একটি বিলে স্বাক্ষর করেছিলেন পুতিন। ওই বিলে বলা হয়, রাশিয়ার ‘স্বাধীন অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রনীতি’ যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর বাধার মুখে ‘পালটা জবাব’ দেওয়ার উদ্যোগ নেবে দেশটি।