বিনোদন ডেস্কঃ
রাইসুল ইসলাম আসাদ। বরেণ্য অভিনেতা। টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে নিয়েমিত অভিনয় করে যাচ্ছেন তিনি। এ সময়ের ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে-
একনাগাড়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ কী কারণে অভিনয়ে বিরতি নিলেন?
অভিনয়ে বিরতি নেওয়ার কথা কখনও ভাবিনি। এখন সিনেমার শুটিং স্থগিত হয়ে আছে। লকডাউন শুরুর পর নাটকের কাজও সেভাবে হয়নি। তাই কাজের শিডিউল চূড়ান্ত না হওয়ায় কিছু সময় দেশের বাইরে কাটানোর পরিকল্পনা করেছি। এরপর দেশে ফিরে আবার অভিনয় শুরু করব। মাঝের এই সময়টাকে আর যাই হোক, অভিনয়ে বিরতি নেওয়া বলা যাবে না।
বছরের প্রায় অর্ধেক সময় দেশের বাইরে থাকেন, কারণ কী?
আমার মেয়ে রুবায়না জামান আর স্ত্রী তাহিরা দিল আফরোজ আমেরিকায় [যুক্তরাষ্ট্র] থাকে। দেশে আমি একা থাকি। কাজে ডুবে থাকি। হয়তো সে কারণে এখনও একাকিত্ব পেয়ে বসেনি। তারপরও প্রিয়জনের পাশে না থাকার ইচ্ছা থেকেই যায়। তাই ওদের টানে বারবার সেখানে ছুটে যাই। ওদের পাশে থেকে আবেগ-অনুভূতি, সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নিই।
দেশে ফিরেই কি সিনেমার কাজ শুরু করবেন?
এটা নির্ভর করছে পরিচালকদের ওপর। যখনই কাজ শুরু হোক, অভিনয় করব। অবশ্য দীপংকর দীপনের ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ছবির কাজ প্রায় শেষ। আর শ্যাম বেনেগাল কবে নাগাদ ‘বঙ্গবন্ধু’ ছবির কাজ শুরু করবেন, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানি না।
কাজের অভিজ্ঞতায় ‘অপারেশন সুন্দরবন’ কতটা সময়োপযোগী বলে মনে হয়েছে?
পরিচালক থেকে শুরু করে শিল্পী, কলাকুশলী সবারই চেষ্টা ছিল ভালো কিছু করে দেখানোর। এখন পর্দায় দেখার পর বোঝা যাবে, ছবিটি কেমন হয়েছে। অনেক কাজ ভালোভাবে শুরু করেও শেষ পর্যন্ত ফল প্রত্যাশা মাফিক হয় না। তবে এই ছবিটি আমার কাছে একই সঙ্গে ভিন্ন ধরনের ও সময়োপযোগী মনে হয়েছে। এটি দর্শকের ভালো লাগবে বলেই আমার ধারণা।
‘বঙ্গবন্ধু’ ছবিটি আপনার কাছে কতটা ভিন্ন ধরনের মনে হয়েছে?
‘বঙ্গবন্ধু’ শুধু ছবি নয়, ইতিহাসের বাস্তব দৃশ্যপট বলা যায়। এখানে যে চরিত্র ও ঘটনা তুলে ধরা হচ্ছে, তার সবই ঐতিহাসিক। তাই যারা এতে কাজ করছেন, সবার কাছেই এটি জীবনের অন্যতম একটি কাজ হিসেবে থেকে যাবে। টিভি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন। এখনকার নাটক, সিনেমা নিয়ে আপনার মতামত জানতে চাই…
সিনেমা নির্মাণে একটা বাঁকবদল চোখে পড়ছে। একের পর এক হল বন্ধ হয়ে গেলেও অনলাইনের সুবাদে নতুন পথ খুলে গেছে। নাটক নির্মাতাদেরও কাজের পরিধি বেড়েছে। যদিও অনেকে বলেন, ‘এখনকার নাটক ভালো না, আগেকার নাটক ভালো ছিল।’ যারা এই কথা বলেন, তাদের সঙ্গে আমি একমত নই। কারণ, ভালো নাটক আগেও ছিল, এখনও আছে। স্বল্প বাজেট আর নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও অনেকে ভালো কাজের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাদের এই চেষ্টা কোনোভাবেই খাটো করে দেখা যাবে না।
নতুনরা তাদের কাজে কতটা সাফল্য ধরে রাখতে পারছে বলে মনে করেন?
নতুন মানে তো আনাড়ি নয়। অনেকে তাদের কাজের মধ্য দিয়ে সময়কে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে, সফলও হচ্ছে। আজকাল দেখি, দর্শক ভিউয়ে কে বড় তারকা, কার কাজ ভালো- এসব বিচার করছেন অনেকে। আর যাই হোক, ভিউ দিয়ে ভালোমন্দের বিচার চলে না।