প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে বিএনপি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক আলোচনা সভায় বলেছিলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। সেতুতে যে স্প্যানগুলো বসাচ্ছে, এগুলো তার কাছে ছিল জোড়াতালি দেওয়া। বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে। আবার তার সঙ্গে কিছু দোসরও…তাদেরকে এখন কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত।’

বৃহস্পতিবার নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিএনপির কার্যালয়ে এক কর্মিসভায় এর জবাব দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে নিয়ে খালেদা জিয়াকে টুস করে নদীতে ফেলে দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথার মধ্যে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি ছিল।’

ওবায়দুল কাদের তাঁর বিবৃতিতে বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের একটি অনন্য মাইলফলক হলো নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ। যাঁরা রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে অস্বীকার করার অপচেষ্টা চালান এবং বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার পরিণতি দেখতে সুপ্ত বাসনা লালন ও ষড়যন্ত্র করেন, তাঁদের বলতে চাই—পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়; এটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার স্মারক।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরুর পর থেকেই বিএনপি ও তার দোসররা ক্রমাগত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তাঁরা চক্রান্ত করে বিদেশি অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। এরপরও শেখ হাসিনা দেশি অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তখন খালেদা জিয়াসহ একটি চিহ্নিত মহলের মন্তব্যগুলো ছিল কাণ্ডজ্ঞানবিবর্জিত ও দুরভিসন্ধিমূলক। এসব ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা শুধু সরকারের বিরোধিতাই ছিল না; বরং দেশদ্রোহিতার শামিল।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের বিরোধিতা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপি নেতারা দুরভিসন্ধিমূলকভাবে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রা‌ন্তি¯সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে। এমনকি বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তথাকথিত ‘হত্যার হুমকি’র বয়ান তৈরি করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *