দিল্লির মহোৎসবে ‘চিত্রাঙ্গদা’ 

বিনোদন ডেস্কঃ এশিয়ার বৃহত্তম এবং পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য পাঁচটি নাট্যোৎসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারতের দিল্লিস্থ রাষ্ট্রীয় নাট্য শিক্ষায়তন ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা (এনএসডি) আয়োজিত ২২তম ভারত রঙ্গ মহোত্সব-এ মঞ্চায়নের জন্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশের নাট্যসংগঠন স্বপ্নদলের দর্শকনন্দিত প্রযোজনা ‘চিত্রাঙ্গদা’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিরায়ত সৃষ্টি ‘চিত্রাঙ্গদা’র গবেষণাগার নাট্যরীতিতে নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ অনন্য সম্মানজনক আন্তর্জাতিক নট্যোত্সব আগামী ১ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি দিল্লি এবং আরও পাঁচটি শহরে অনুষ্ঠিত হবে। এবারে ৭০১টি নাট্যদলের মধ্য থেকে ভারতের ৭৭টি এবং ভারতের বাইরের ১০টিসহ মোট ৮৭টি প্রযোজনা উত্সবে প্রদর্শনীর জন্য চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে ১৭তম ভারত রঙ্গ মহোত্সব-এ যুদ্ধবিরোধী গবেষণাগার নাট্য ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ মঞ্চায়ন করে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয় স্বপ্নদল।

 প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রনাথ মহাভারতের চিত্রাঙ্গদা-উপাখ্যান অবলম্বনে ১৮৯২ সালে কাব্যনাট্যরূপে এবং ১৯৩৬ সালে নৃত্যনাট্যরূপে ‘চিত্রাঙ্গদা’ রচনা করেন। স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনাটি নির্মিত হয়েছে কাব্যনাট্য পাণ্ডুলিপি অবলম্বনে। এর নাট্যকাহিনিতে উপস্হাপিত হয়, মহাবীর অর্জুন সত্যপালনের জন্য একযুগ ব্রহ্মচর্যব্রত গ্রহণ করে মণিপুর বনে এসেছেন। মণিপুর-রাজকন্যা চিত্রাঙ্গদা, অজু‌র্নের প্রেমে উদ্বেলিত হলেও অজু‌র্ন রূপহীন চিত্রাঙ্গদাকে প্রত্যাখ্যান করেন। অপমানিত চিত্রাঙ্গদা প্রেমের দেবতা মদন এবং যৌবনের দেবতা বসন্তের সহায়তায় এক বছরের জন্য অপরূপ সুন্দরীতে রূপান্তরিত হন। এবার অর্জুন যথারীতি চিত্রাঙ্গদার প্রেমে পড়েন। কিন্তু অজু‌র্নকে লাভ করেও চিত্রাঙ্গদার অন্তর দ্বন্দ্বে ক্ষত-বিক্ষত হতে থাকে— অর্জুন প্রকৃতপক্ষে কাকে ভালোবাসেন, চিত্রাঙ্গদার বাহ্যিক রূপ নাকি তার প্রকৃত অস্তিত্বকে?

‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনাটি ২০১১ সালে সার্ধশত রবীন্দ্রবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুদানে নির্মাণ করে স্বপ্নদল। ইতোমধ্যে প্রযোজনাটির ৮৩টি সফল মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনার গ্রম্হিকরা হলেন— সোনালী, জুয়েনা, শিশির, শ্যামল, অর্ক, হ্যাপী, সুমাইয়া, সামাদ, ঊষা, জেবু, আলী, প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *