নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে ‘স্লো পয়জনিং’ করা হয়েছে -এমন সন্দেহ প্রকাশ করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যে সরকার অনায়াসে গুম-হত্যা করতে পারে, তাদের পক্ষে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। পুরানো ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগারে খালেদা জিয়াকে প্রায় দুই বছর আটকে রাখা হয়। এরপর তাকে রাজধানীর পিজি (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, যেখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। এই যে তার ভেতরে যে রোগের সূত্রপাত হয়েছিল, সবার মনে প্রশ্ন, সেদিন কি বেগম জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছিল?
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সমাবেশে ফখরুল এসব কথা বলেন। এ সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। চিকিৎসকরা বলছেন, আমাদের বিদ্যা, জ্ঞান প্রায় সব শেষ। আমরা দেশে এর বেশি কিছু করতে পারব না। খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা পরিষ্কার করে বলছেন, অবিলম্বে তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শুনতে চান না। তার মন্ত্রীরাও বলেন এটা দেওয়া উচিত, আওয়ামী লীগের এমপিরাও বলেন মানবিক কারণে এটা দেওয়া উচিত। সারাদেশে মানুষও বলছে। দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বলছে খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা হোক-তা তারা চাচ্ছেন। আমরা জানি আন্তর্জাতিকভাবেও তার ওপর চাপ আসছে কোনোটাই তিনি শুনছেন না।কেন প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন না? কারণ প্রতিহিংসা। তিনি খালেদা জিয়াকে শুধু রাজনীতি থেকে নয়; জীবন থেকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্ত করছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বত্র ব্যর্থ হলে একটা জায়গায় তারা ব্যর্থ হয়নি। তা হচ্ছে গণতন্ত্রের জন্য যে আন্দোলন, বিরোধী দলের যে আন্দোলন, আমাদের বেঁচে থাকার আন্দোলন, ভোট দেওয়ার আন্দোলন তা দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিদ্ধহস্ত। এই সরকারকে আমাদের পরাজিত করতে হবে।আমাদেরকে অনেক সাবধানী ও কৌশলী হতে হবে। আমরাসহ দেশের প্রতিটি মানুষ চায় এখনই এই সরকারকে ঘাড় ধরে নামিয়ে দেই। শুধু বিএনপি নয়; সব মানুষের জীবন অতিষ্ট হয়ে গেছে। আমরা যদি ভুল করি আমরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাব। সুতরাং প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত ধৈর্য্য ও সাহসের সঙ্গে নিতে হবে, মোকাবিলা করতে হবে। সমাবেশ থেকে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার দাবি জানানো হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কৌশলগতভাবে কর্মসূচি পালন করতে হবে, সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারকে বাধ্য করা হবে। আমরা অবশ্যই বিজয়ই হবো ইনশাআল্লাহ।