মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া বিজেপি নেতা ও দলের মুখপাত্র নূপুর শর্মার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ৬ জুন ভারতের মুম্বাইয়ের ভেন্ডি বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন মুসলিম অধিকারকর্মীরা।
ভারতে ২০২০ সালের এপ্রিলে মুসলিমদের একটি জমায়েত নিয়ে অভিযোগ ওঠে, এ সমাবেশ ভারতে করোনার একটি গুচ্ছ সংক্রমণের জন্য দায়ী। পরে দ্রুতই এ ঘটনা ইসলামভীতিতে মোড় নেয়।
দিল্লিতে তাবলিগ জামাতের ওই জমায়েতে দেশি-বিদেশি কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। তাবলিগের এ কার্যক্রম প্রায় শতবছরের পুরোনো। ওই জমায়েতকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সরকার ‘সুপার স্প্রেডার ইভেন্ট’ তথা করোনার সংক্রমণ বিস্তারে বড় প্রভাব বিস্তারকারী ঘটনা বলে আখ্যায়িত করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসলামভীতিকে তুলে ধরে এমন সব মিমস ও হ্যাশট্যাগ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এগুলোর মাধ্যমে তাবলিগের ওই জমায়েতকে সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য দোষারোপ করা হতে থাকে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও নানা উসকানিমূলক শিরোনামে খবর প্রচার ও প্রকাশ করা শুরু করে। এ রকমই একটি শিরোনাম, ‘করোনা জিহাদ থেকে দেশকে বাঁচাও’।
এ ঘটনায় ভারত লকডাউনের বিধি ভাঙার অভিযোগে প্রায় এক হাজার মুসল্লির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। এই মুসল্লিরা তাবলিগের ওই জমায়েতে অংশ নিয়েছিলেন। আট মাস পর আদালত আটক সর্বশেষ মুসল্লিকে মুক্তি দেন। আদালত বলেন, সরকারের নির্দেশনায় তাঁদের ‘বিদ্বেষপ্রসূতভাবে’ বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।