স্পোর্টস ডেস্কঃ কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ফিরে জয়ের দেখা পেয়েছে। আগের দুই ম্যাচে চিলি ও কলম্বিয়ার সঙ্গে ড্র করা (৪ ও ৯ জুন) আলবিসেলেস্তেরা ৩-১ গোলে হারিয়েছে ভেনেজুয়েলাকে। অন্যদিকে কোপা রানার্সআপ ব্রাজিল ১-০ গোলে চিলিকে হারিয়ে শতভাগ জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে।
কোপা জয়ের নায়ক লিওনেল মেসি ১০ জুলাইয়ের মারাকানা ফাইনালের পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছিলেন ২৯ আগস্ট, পিএসজির হয়ে ফ্রেঞ্চ লিগে। সে ম্যাচে ৩০ মিনিট মাঠে তেমনভাবে নজর কাড়েনি তার খেলা। কারাকাসের অলিম্পিক স্টেডিয়ামেও তেমনি। যদিও ম্যাচের ঘটনাপ্রবাহে তার ভূমিকা ছিল। ৪-৪-২ ছকে খেলান লিওনেল স্কালোনি। স্ট্রাইকে ফরোয়ার্ড লাইনে মেসির সঙ্গে ছিলেন লাউতারো মার্তিনেজ। ৩১ মিনিটে মেসিকে বাজেভাবে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ভেনেজুয়েলার ডিফেন্ডার আদ্রিয়ান মার্তিনেজ। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে লো সেলসোর পাস থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন লাউতারো মার্তিনেজ। এই গোলের বিল্ডআপে ছিলেন মেসি। ৬২ মিনিটে লো সেলসো আর ডি মারিয়ার জায়গায় জোয়াকিন কোরেয়া এবং অ্যাঞ্জেল কোরেয়াকে মঠে নামান স্কালোনি। তাতে দৃশ্যপট পাল্টে যায়। ৭১ মিনিটে দিবালার বাড়ানো বল থেকে গোল করেন লাৎসিও থেকে ইন্তারে লাউতারোর সঙ্গী হওয়া ২৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড জোয়াকিন। তিন মিনিট পর তার শট ভেনেজুয়েলার গোলকিপার আটকে দিলে বল যায় অ্যাঞ্জেল কোরেয়ার কাছে। তা থেকে গোল করেন তিনি। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমায় ভেনেজুয়েলা।
ম্যাচ শেষে মার্তিনেজ বলেন, ‘এই তিন পয়েন্ট আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভেনেজুয়েলা কঠিন এক প্রতিপক্ষ। আমরা প্রথমার্ধে দুর্দান্ত খেলেছি। প্রথম গোলের পর আরও বেশি ঠাণ্ডা মাথায় খেলতে পেরেছি।’
ভেনেজুয়েলার মাঠে ১৪ বছর পর জয় পেল আর্জেন্টিনা। এর আগে ২০০৭ সালে সবশেষ জয় পেয়েছিল। এই জয়ে ২১ ম্যাচে অপরাজিত রইল আর্জেন্টিনা।
ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়নের তকমা নিয়ে চলাটা বিশেষ এক অনুভূতি, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের প্রশংসায় গা ভাসালে চলবে না। আমরা উইং দিয়ে খেলিনি। সে জন্যই খেলাটি মাঝে (মধ্যমাঠে) কেন্দ্রীভূত ছিল।’
কষ্টের জয় ব্রাজিলের
ইংলিশ লিগের ক্লাবগুলো ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়দের না ছাড়ায় পছন্দের বেশ কয়েকজনকে ছাড়াই দল সাজাতে হয় তিতেকে। তবুও ব্রাজিলকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি চিলি।
সান্তিয়াগোর মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে ২৮ মিনিটে নেইমার সামনে কেবল গোলকিপার ক্লদিও ব্রাভোকে পেয়েও গোল করতে পারেননি। দুই মিনিট পর আর্তুরো ভিদালের ফ্রি কিক ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান গোলকিপার। ৩৩ মিনিটে জালে বল পাঠান চিলির ইভান মোরালেস। কিন্তু তিনি ছিলেন অফসাইডে। ৬৪ মিনিটে নেইমারের শট ব্রাভো ফিরিয়ে দেওয়ার পর ফিরতি শটে জাল খুঁজে নেন এভারটন রিবেইরো।
সাত ম্যাচের সবগুলো জিতে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল। ৪ জয় ও ৩ ড্রতে ১৫ পয়েন্টে দ্বিতীয় স্থানে আছে আর্জেন্টিনা। রবিবার (বাংলাদেশ সময় পরদিন সকালে) ব্রাজিলের সঙ্গে লড়াই আর্জেন্টিনার। বৃহস্পতিবার কনমেবল অঞ্চলের আরও ৩ খেলা হয়েছে। এর একটিতে প্যারাগুয়েকে ২-০ গোলে হারানো ইকুয়েডর ১২ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে তিনে। ৯ পয়েন্ট করে নিয়ে পরের দুটি স্থানে আছে উরুগুয়ে ও কলম্বিয়া। উরুগুয়ে পেরুর সঙ্গে ১-১ গোলে এবং কলম্বিয়া বলিভিয়ার সঙ্গে একই স্কোরলাইনে ড্র করেছে।